জন্ম প্রফেসর ডা. আলতাফ হোসেন সরকার উপমহাদেশের অন্যতম প্রখ্যাত ফিজিওথেরাপিস্ট এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস বিশেষজ্ঞ| “বহুমাত্রিক প্রতিভার মেলবন্ধনে পাবনা“র অন্যতম উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক, রোগীজন সমদ্রিত প্রফেসর ডা. আলতাফ হোসেন সরকার ১৯৫৪ সালের ৪ ডিসেম্বর পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার শম্ভুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেড়া থানা শাখার নির্বাচিত সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষা ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন । ১৯৯৯ সালে মাস্টার্স ইন ফিজিওথেরাপি ডিগ্রি অর্জন করেন । ২০১৯ সালে ব্যচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন এবং ২০২০ সালে মাস্টার্স অব ফিজিক্যাল এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পিএইচ ডি (ফেলো) যশোর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া তিনি মেকানিক্যাল ডায়গনসিস ও থেরাপি (স্পাইন), বাওয়ান টেকনিক, অর্থোপেডিক মেডিসিন–সিরিয়াক্স, অ্যাডভান্স জেনারেল মেডিসিন ক্লিনিক্যাল নিউরো ডায়নামিক্স, ভিসারাল ম্যানুপুলেশন, মায়োফেসিয়াল রিলিজ, পজিশনাল রিলিজ–এ উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন ।
প্রফেসর আলতাফ হোসেন–এর মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস চিকিৎসার ওপর লেখা অসংখ্য গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে । প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পরীক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন ।
তিনি ঢাকা কলেজ অফ ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহেবিলিটেশন এর সম্মানিত প্রফেসর এবং এডজাং প্রফেসর অপেন ইউনিভারসিটি অফ বাংলাদেশ।
প্রতিষ্ঠাতা তিনি বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা–উপদেষ্টা । বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি জার্নালের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক । ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন সেন্টার ফর ডিসেবল এবং ফিজিওথেরাপি রিভিউ (প্রথম ফিজিওথেরাপি পত্রিকা)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ।
প্রফেশনাল সাফল্য প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন । তিনি প্রমাণ করেছেন ফিজিওথেরাপি “এ মেডিসিন টুডে অ্যান্ড টুমরো”। স্পাইন চিকিৎসায় কীভাবে অপারেশন ছাড়াই স্পাইনের রোগ চিকিৎসা করা যায়– এ বিষয়ে তিনি অপরিসীম সাফল্য অর্জন করেছেন। যেমন– একটি সঠিক এক্সারসাইজ তাৎক্ষণিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে । সে জন্য তিনি বলেন– “সঠিক এক্সারসাইজ ‘ইজ এ পেইনকিলার’।”মাথা ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার জনক হিসেবেও তিনি সমধিক পরিচিত ।
পদক: সংকটে, সংগ্রামে, সাফল্যে যিনি থাকেন অগ্রভাগে।এই অনন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে ২০০২ সালে বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ কর্ত্তৃক ‘বিশেষ পদক’ প্রদান করা হয় এবং ২০১০ সালে ‘অতীশ দীপঙ্কর গোল্ডমেডেল দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনি বিজয় দিবস পুরুষ্কার ২০১৫ লাভ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। প্রফেসর আলতাফ সরকার ১৯৭১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সম্মুক্ষ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন এবং পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনেন। বর্তমানে তিনি “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান। “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) , মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন নং– ২৫৯ এর নিবন্ধিত। প্রফেসর ডা. আলতাফ হোসেন সরকার বিএমজেএফ এর চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিদেশ ভ্রমন: প্রফেসর ডা. আলতাফ প্রফেশনাল কাজের জন্য বিভন্ন দেশে ভ্রমন করেন। যেমন. জিম্বাবুয়, জাম্বিয়া, বস্চুয়ানা, কেনিয়া, ইথুপিয়া, ইরেথ্রিয়া, ভারত, নেপাল, কুয়েত,সৌদিআরব, কাতার, দুবাই, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, অষ্ট্রিয়া, জার্মানি।
কলামিষ্ট: ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং উপদেশ সম্বলিত বিভিন্ন রোগের ওপর তাঁর লেখা প্রবন্ধ দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকে । যেমন: দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ, দৈনিক ভোরের ডাক, দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক ডেস্টেনি, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক মানব জিবন, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক নয়াদিগন্ত, দৈনিক বিজনেস ফাইল, দৈনিক যায়যায় দিন, দৈনিক দিনের শেষে, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক সমকাল, দৈনিক এ যুগের দীপ পাবনা।
সাপ্তাহিক এবং মাসিক : জনমন, বহুমত, জাপান বংলা টাইম, টাইম ওয়াচ, ইবনে সিনা হেলথ ম্যগাজিন, মেডিকেল ভয়েস, আপনার স্বাস্থ্য, বাংলা ডায়েরি, ফার্মা ওয়াল্ড এবং আরও অনলাইন পত্রিকা।
আন্তজার্তিক সদস্য প্রফেসর আলতাফ অনেক ইন্টারন্যাশনাল অরগানাজেশন এর মেম্বার যেমন: ফিজিওথেরাপি রিচাজ সোসাইটি (ইউকে), আমেরিকান ব্যক সোসাইটি, ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ স্পাইন কড ইনজুরি, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব ফিজিওথেরাপি জার্নাল এডিটর, অষ্ট্রেলিয়া, কোয়ালেশন ফর ইন্টরন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোট আমেরিকা আপিল ফর পিচ নেদারল্যান্ড।
ধর্মীয় কার্যক্রম ধর্মীয় দিক থেকে প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার একজন ধার্মিক ব্যক্তি। ২০১৩ সালে হজ্ব ব্রত পালন করেন এবং প্রায় প্রতি বছরে ওমরা পালন করেন। প্রথম ওমরা করেছেনে ১৯৮৭ সালে।
জীবন সদশ্য : প্রবীন হৈতিষী সংঘ, লায়ন ফাউন্ডেশন, উত্তর বঙ্গ সোয়াল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি, পাবনা সমিতি, রেড কিসেন্ট সোসাইটি।
মানবতার কাজ: তিনি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক–এ লাইভ প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ফিজিওথেরাপি বিষয়ক প্রশ্ন–উত্তর এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মানবতার ক্ষেত্রে যে সমস্ত কাজ করেন তার মধ্যে উন্নতম হল: তিনি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক–এ লাইভ প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে শনি, সোম, বৃহস্প্রতিবার ফিজিওথেরাপি বিষয়ক প্রশ্ন–উত্তর এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্রি হেলথ ক্যাম্প করেন।
দান: প্রফেসর আলতাফ হোসেন সরকার স্যার অনেক দান করেন। তিনি মাদরাসা, মসজিদ তৈরিতে দান করেন। স্যার অনেক গরিব মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে পড়াশুনার করার সুযোগ করে দেন। তিনি নিজেই সকল ব্যায় বহন করেন। আলতাফ স্যার বেড়া ডায়াবেটিকস সেন্টার নির্মানের জন্য তার নিজিস্ব ১৪ শতাংশ জমি দান করে দেন।
বৈবাহিক অবস্থা : প্রফেসর ডা. আলতাফ হোসেন সরকার সৈয়দা শাহরে আরা শোকর(বি এ অনার্স, এম এ) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে ডা. ওয়ারেসা সরকার ও ইন্জিনিয়ার নাফিসা লিমা সরকার ।