ভূমিকা : সেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙ্গালী জাতীর অকুতােভয় সংগ্রাম আমাদের মেরুদন্ড সােজা করে বেচেঁ থাকার অনুপ্রেরণা যােগায়। যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা বহমান ততােদিন আমাদের বেচেঁ থাকবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। তিনি তৎকালীন পাক শােষক গােষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তােলেন এবং বিভিন্ন সময় জেল-জুলুম অত্যাচার সহ্য করে এ আন্দোলন সংগ্রাম পর্যায়ক্রমে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়। মুক্তিকামী মানুষদের মানসিক সাহস যুগিয়ে তাদের পাশে এসে কাজ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু মজিবুর রহমান। আর, সার্বক্ষনিক তাকে প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ ভাবে সহযােগিতা, পরামর্শ দেয়া ছাড়াও তার অবর্তমানে বা নির্দেশের অপেক্ষা
করে সকল গুরু দ্বায়িত্ব পালন করেছেন তার অত্যান্ত প্রিয়ভাজন সহযােদ্ধা আমাদের জাতীয় চার নেতা যথাক্রমে ৪ বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও সাবেক মন্ত্রী শহীদ মােঃ কামরুজ্জামান।
২৫ শে মার্চের কাল রাত্রির ভয়াবহতার পর ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু মজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণার মধ্য দিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। শুরু হয়ে যায় স্বাধীনতার যুদ্ধ। যারা পাকহানাদার বাহিনীর ভারী সব অস্ত্রের মুখে জীবনের পরােয়া না করে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে তারা প্রত্যেকেই ছিল মুক্তিবাহিনী বা মুক্তিযােদ্ধা। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা খচিত স্বাধীনতা। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে প্রাণ
সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে ছালাম জানাই। আর যারা বেচেঁ আছে তাদেরকে আমরা যেন শ্রদ্ধার সাথে বীর খেতাবে সম্বােধন করি। যে সকল মুক্তিযােদ্ধা আজ যুদ্ধাহত, পঙ্গু, অসহায়, বয়ােবৃদ্ধ তাদের পাশে যেন আমরা থাকতে পারি এজন্যই এ সংগঠনের জন্ম।
মুক্তিযােদ্ধা, অসহায়, নিপীড়িত, বিধবা, এতিম, প্রতিবন্ধী ও দুঃস্থ মানুষের জন্য গভীরভাবে ভাবনা সহ তাদের জন্য সহযােগীতার হাত বাড়িয়ে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। মুক্তিযােদ্ধা ও স্বপক্ষ ব্যাক্তিগণ-কে নিয়ে মুক্তিযােদ্ধা, অসহায়, নিপীড়িত, বিধবা, এতিম, প্রতিবন্ধী ও দুঃস্থ মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দানের জন্যই “বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্বা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ)” গঠনে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমরা আশা করি এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর প্রতিষ্ঠা লগ্ন ১৭ মার্চ, ২০১৭ ইং/৩রা চৈত্র, ১৪২৩বঙ্গাব্দ হতে (১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বীকৃত বীর সিপাহশালার, সাব-সেক্টর কমান্ডার ও বিএমজেএফ এর সম্মানীত সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মােঃ জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ,
(২) মানণীয় বর্তমান চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মাস্কুলােস্কেলিটাল ডিজঅর্ডার বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযােদ্ধা প্রফেসর (ডাঃ) আলতাফ হােসেন সরকার,
(৩) বীর মুক্তিযােদ্ধা মােঃ ফজর আলী,
(৪) সরকারের সাবেক যুগ্ম-সচিব বীর মুক্তিযােদ্ধা মােঃ তােফাজ্জল হােসেন
(৫) সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট সমাজকর্মী, শিক্ষানুরাগী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ জনাব মােহাম্মদ মতিয়র রহমান ডিজেল,
(৬) সাবেক ছাত্রনেতা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জনাব আব্দুল আজিজ,
(৭) সমাজকর্মী রােটারিয়ান রওশন আরা রুবী আরও কয়েকজন সমাজ হিতৈসী ব্যাক্তিবর্গ সর্ব প্রকার আর্থিক সহযােগিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিল তিল করে গড়ে উঠা এই সংগঠনে যারা মূল ভূমিকায় আছেন। আর তাঁদের-কে উৎসাহ, সাহস, অনুপ্রেরণা ও সার্বিক সহযােগিতা করে আসছেন বীর মুক্তিযােদ্ধা ও সমাজ হিতৈসী ব্যাক্তিবর্গ। অদ্য ১৭ মার্চ, ২০১৭ ইং | ৩রা চৈত্র, ১৪২৩বঙ্গাব্দ হতে নিন্মােক্ত ধারা ও কার্যক্রম বাস্তবে রূপ দানের জন্য এ প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলাে।
ধারা-১।
ক) সংগঠনের নাম ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ)
3) BETSGIGO: BANGLADESH MUKTIJODDHA JANAKALLAYAN FOUNDATION (BMJF)
গ) সংক্ষিপ্ত নাম ও বাংলায় – “বিএমজেএফ” ইংরেজিতে – “BMJF”,
ধারা-২।
ক) রেজিষ্টার্ড অফিস ঃ ১৭৫/৫, পূর্ব রামপুরা, ঢাকা-১২১৯।
খ) কেন্দ্রীয়/প্রধান কার্যালয়ঃ তবে ঢাকা মহানগরীর যেকোন স্থানে প্রধান/কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা
যাবে এবং প্রয়ােজন মােতাবেক যে কোন স্থানে স্থানান্তর করা যাবে। তবে স্থানান্তরের পর ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধিকরণ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করা হবে।
ধারা-৩। কার্যক্রমের এলাকা ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) বাংলাদেশ ভিত্তিক সংগঠন বলে গন্য হবে । কেন্দ্র থেকে বিভাগ, জেলা, মহানগর, প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট, থানা/উপজেলা এর সাংগঠনিক এলাকা বিস্তৃত থাকবে। সংগঠনের সাথে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি যদি মনে করেন, তবে মুক্তিযােদ্ধাদের স্বার্থে বর্হিবিশ্বে ফাউন্ডেশনের সহযােগী/অংগসংগঠনের/শাখা গঠন করা যাইতে পারে (তবে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে কমিটির অনুমােদন দেয়া হবে)।
ধারা-৪। সংগঠনের পতাকা ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) পতাকা হবে লাল আয়তক্ষেত্রের মধ্যে সাদা পােলকের মাঝখানে মুষ্টিবদ্ধ হাতে লাল রং আঁকা বেয়নেট সংযুক্ত রাইফেল। পতাকার প্রস্থ হবে দৈর্ঘ্যের ৫ঃ ৩ ভাগ। গােলকের ব্যাসার্ধ হবে বৃত্তের ১৪ ৫ অংশ।
ধারা-৫। সংগঠনের প্রতীক ফাউন্ডেশনের প্রতীক হবে লাল-সবুজ গােলকের মধ্যে সাদা রং শান্তির প্রতিক পায়রা ও যৌথ লাল-সবুজ-সাদার মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ বেয়নেট সংযুক্ত রাইফেল।
ধারা-৬। সংগঠনের আদর্শ ও
- সংগঠনের আদর্শ হবে মুক্তিযােদ্ধার জন্য “ঐক্য”, “সেবা” ও “উন্নয়ন”।
- মূলমন্ত্র হবে “দেশ ও জনগণের অতন্ত্র প্রহরী” ধারা-৭। সংগঠনের বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) মুক্তিযােদ্ধা, প্রতিবন্ধি পুনর্বাসন, দারিদ্র বিমােচন, সেবা, উন্নয়ন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনকল্যাণ মূলক জাতীয় একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন।
ধারা-৮। সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১.বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান কোনরূপ রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও মূল্যবােধ সমুন্নত রাখা, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সুরক্ষা, চেতনা বাস্তবায়ন, দেশ, জাতি, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
২. দরিদ্র ও অনগ্রসর জনগােষ্ঠির মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কর্মসূচী গ্রহণ, বাস্তবায়ন এবং জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা গড়ে তােলা। রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সকল স্তরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখা ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে শিশু, কিশাের, যুবক, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, মহিলা, ব্যবসায়ী সাংস্কৃতিক কর্মী ও সকল শ্রেণীর পেশাজীবিদের উন্নয়নে “বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ)” নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করবে।
৩. বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) কর্তৃক দেশের সকল বিভাগ, জেলা, মহানগর, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা/থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ভিত্তিক শাখা স্থাপন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়সহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গ্রহণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ থাকবে। মুক্তিযােদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযােদ্ধা পরিবারের সদস্যদের অর্থনৈতকভাবে সচ্ছল-স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সরকারী-বেসরকারী সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত ভূসম্পত্তি কিংবা স্থাবর সম্পদ সংরক্ষণে কার্যক্রম গ্রহণ সহ সর্বতােভাবে পুনর্বাসন সংক্রান্ত অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
৪. কমিটি গঠন করে সামাজিক সভা-সমাবেশ, সেমিনার, ওয়ার্কসপ, মানববন্ধন, প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সমাজ সচেতন মানুষের অংশগ্রহণ, সার্বিক সহযােগিতায় দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলােকে মানব বান্ধব সমাজ গড়ে তােলা। জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা সংরক্ষণ ও জাতীয় মুক্তি অর্জনে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ সহ সকল প্রকার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরােধ গড়ে তুলবে।
৫. নির্বাচন পর্যবেক্ষন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, জনস্বার্থে বিভিন্ন জরিপ, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং স্বাধীনভাবে স্ব-স্ব ধর্ম পালনে সহায়তা দান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন। স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই সংগঠন সেবার কাজ করে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতি ও আদর্শ সংক্রান্ত সৌধ, ভাস্কর্য, যাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শন সংরক্ষণ বাস্তাব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
৬. মানবতার সেবা, দেশ, জাতি, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কর্মসূচী ও কার্যক্রম জাতীয় পর্যায়ে পরিচালনা করা। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযােদ্ধা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত কাৰ্য্যবলী সম্পাদনে সদা প্রস্তুত থাকবে। বিশেষ করে, মুক্তিযােদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযােদ্ধা পরিবারের সদস্যদের কারগিরী প্রশিক্ষণ প্রদান ও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। ফাউন্ডেশন নিরপেক্ষ থেকে জাতীয় দায়িত্ব পালনে দেশ ও জনগণের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাবে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কাউন্সিলের সিদ্ধান্তক্রমে যে কোন প্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এন,জি,ও গঠনপূর্বক মুক্তিযােদ্ধা, মুক্তিযােদ্ধা পরিবার ও জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। আর্থ সামাজিক অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী অর্জনে স্বাস্থ্য সেবার জন্য হাসপাতাল, জাতীয় পর্যায়ে গাে-মাংসের জন্য গবাদী পশু পালন প্রকল্পে, মৎস্য প্রকল্প, আইটি প্রকল্প সহ ইত্যাদি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) স্বনির্ভর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ধারা-৯। বিএমজেএফ এর কর্মসূচী সমূহ
১। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সুরক্ষা এবং অসহায় মুক্তিযােদ্ধা পরিবারের উন্নয়ন ও পূনর্বাসন
২। পারিবারিক বিরােধ নিষ্পত্তি ও যৌতুক, বাল্য বিবাহ প্রতিরােধ
৩। মানব বান্ধব সমাজ গড়ে তােলা
৪। প্রবীণ এবং তাদের জন্য এতিম, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পূণর্বাসন
৫। প্রতিবন্ধি ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পুনর্বাসন
৬। নারী অধিকার সুরক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন
৭। শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা ওমালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক গড়ে তােলা
৮। উন্নয়ন, সেবা ও জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন
৯। দুর্নীতি প্রতিরােধ
১০। স্বাস্থ্য সেবা, মাতৃ মঙ্গল ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচী
১১। পরিবেশ উন্নয়ন ও দূষণ মুক্ত সমাজ গঠন
১২। শিক্ষা উন্নয়ন
১৩। নেশা, ধুমপান ও মাদক মুক্ত সমাজ গঠন
১৪। দরিদ্র মানুষের নিজেদের ও জাতীয় উন্নয়নে অংশ গ্রহণ
১৫। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা
১৬। গ্রামীণ অবকাঠামাে উন্নয়ন কর্মসূচী :
১৭। গণসচেতনতা কর্মসূচী ও
১৮। উন্নয়ন কার্যক্রমে সহযােগিতা
১৯। কৃষি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ
২০। পাঠাগার স্থাপন ও পরিচালনাঃ
২১। প্রচার ও প্রকাশনা
২২। কাউন্সেলিং/এডভােকেসি কর্মসূচী :
২৩। বিভিন্ন দিবস পালন
২৪। গবেষণা ও বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ
২৫। মানবাধিকার সংক্রান্ত কর্মসূচী
২৬। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম অংশগ্রহণ
ধারা-১০। অর্থ ব্যয়
ধারা-১১। বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্বা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর অবসায়ন
ধারা-১২। গঠণতন্ত্র
ধারা-১৩। গঠণতন্ত্রের ব্যাখ্যা
১। বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) বলতে ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) মুক্তিযােদ্ধা, প্রতিবন্ধি পুনর্বাসন, দারিদ্র বিমােচন, সেবা, উন্নয়ন, মানবাধিকার | প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনকল্যাণ মূলক জাতীয় একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা/সংগঠন বুঝাবে।
২। বিএমজেএফ/BMJFফাউন্ডেশন, সংস্থা, সংগঠন বলতে ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন-কে বুঝাবে এবং সংক্ষেপে বিএমজেএফ/BMJF ফাউন্ডেশন, সংস্থা, সংগঠন বলা ও লেখা যাবে।
৩। সংগঠনের ইংরেজী নাম বলতে ? BANGLADESH MUKTIJODDHA JANAKALLAYAN FOUNDATION (BMJF) বুঝাবে এবং বহির্বিশ্বে ও দাতা সংস্থাকে বুঝানাের জন্য নামের নিচে ইংরেজীতে gicPro5 16ST BANGLADESH MUKTIJODDHA WELFARE FOUNDATION GTS TICSI
৪। কার্যক্রমের এলাকা বলতে সমগ্র বাংলাদেশকে বুঝাবে (পর্যায়ক্রমে বিধি মােতাবেক বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র)।
৫। সংঘ স্মারক ও গঠনতন্ত্র ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর সংঘ স্মারক ও গঠনতন্ত্রকে বুঝাবে।
৬। সদস্য বলতে ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) কর্তৃক মনােনয়ন প্রাপ্ত বিভিন্ন স্তরের সদস্য ও সদস্যা-কে বুঝাবে।
৭। চেয়ারম্যান বলতে ও বিএমজেএফ এর ‘জাতীয় নির্বাহী কমিটি’ ও ‘কার্যকরী পরিষদ এর চেয়ারম্যান-কে বুঝাবে।।
৮। ভাইস-চেয়ারম্যান বলতে ও বিএমজেএফ এর জাতীয় নির্বাহী কমিটি’ ও কার্যকরী পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যানদের-কে বুঝাবে।
৯। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল বলতে ও বিএমজেএফ এর ‘জাতীয় নির্বাহী কমিটি’ ও ‘কার্যকরী পরিষদ এর মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল-কে বুঝাবে। বিএমজেএফ এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল উভয় পদ বলা বা লেখা যাবে।
১০। যুগ্ম-মহাসচিব বলতে ও বিএমজেএফ এর ‘জাতীয় নির্বাহী কমিটি’ ও ‘কার্যকরী পরিষদ এর যুগ্ম-মহাসচিবদের কে বুঝাবে।
১১। অর্থ সচিব/অর্থ সম্পাদক বলতে ও বিএমজেএফ এর ‘জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কার্যকরী পরিষদ এর অর্থ সচিব/অর্থ সম্পাদক-কে বুঝাবে।
১২। সভাপতি/সম্পাদক বলতে ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর যে কোন কমিটির এবং সকল স্তরের শাখা পর্যায়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি/সম্পাদক-কে বুঝাবে।
১৩। প্রধান বা কেন্দ্রীয় কার্যালয় বলতে ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর কেন্দ্রীয় বা প্রধান কার্যালয়-কে বুঝাবে এবং যে কোনটি বলা বা লেখা যাবে।
১৪। রেজিষ্টার্ড কার্যালয় বলতে : যে ঠিকানায় ফাউন্ডেশনের রেজিষ্ট্রেশন করা হবে উক্ত কার্যালয়-কে বুঝাবে।
১৫। শাখা কার্যালয় বলতে ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে স্বীকৃতি প্রাপ্ত বিভিন্ন স্তরের শাখা কার্যালয়-কে বুঝাবে।
১৬। কমিটি,সাব/উপ/প্রকল্প কমিটি বলতে ও যে কোন কর্মসুচী/প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প কমিটি এবং যে কোন | উদ্দেশ্যে গঠিত কমিটি, সাব/উপ/প্রকল্প কমিটিকে বুঝাবে এবং যে কোন নামে প্রয়ােজন মােতাবেক কমিটি গঠন করা যাবে।
১৭। জাতীয় নির্বাহী কমিটি বলতে ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি-কে বুঝাবে। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে কেন্দ্রীয় বা জাতীয় | নির্বাহী কমিটি বলা ও লেখা যাবে।
১৮। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/নির্বাহী পরিচালক/Executive Director বলতে বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী পরিচালক/ Executive Director-কে বুঝাবে এবং বিএমজেএফ এর কার্যক্রমে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা /নির্বাহী পরিচালক/Executive Director যে কোন পদ লেখা বা বলা যাবে।
১৯। কর্তৃপক্ষ বলতে ও বিএমজেএফ এর জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কার্যকরী পরিষদ বা চেয়ারম্যান | বা মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/নির্বাহী পরিচালক/ Executive Director-কে বুঝাবে।
২০। বিভাগীয় প্রধান বলতে ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় বিভিন্ন বিভাগ/দপ্তরে নিয়ােগ/দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান-কে বুঝাবে।
২১। ম্যানুয়াল/বিধিমালা বলতে ও সাংগঠনিক, নির্বাহী ও প্রশাসনিক এবং হিসাব বিধিমালা সহ বিএমজেএফ কর্তৃক বিভিন্ন সময় প্রণীত ম্যানুয়াল/বিধিমালা/সার্কুলার-কে বুঝাবে।
২২। বিশেষ ক্ষমতা বলতে ও বিএমজেএফ এর স্বার্থে বা জরুরী প্রয়ােজনে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাৎক্ষনিকভাবে যে আইন প্রণয়ন ও ব্যবহার করা হবে তাকে বিশেষ ক্ষমতা বুঝাবে।
২৩। গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার/আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমােদিত বলতে ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর জয়েন্ট স্টক অব কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস কর্তৃক দি সােসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন এ্যাক্ট ও মুক্তিযােদ্ধা মন্ত্রণালয়ের জামুকার এর আওতায় বিধি মােতাবেক এবং গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরাে অথবা দেশীয়/আন্তর্জাতিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর নিবন্ধন/রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি-কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার/আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমােদিত বুঝাবে।
২৪। গঠনতন্ত্র সংশােধন বলতে ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর স্বার্থে যথাযথ নিয়মানুযায়ী প্রতিষ্ঠাতা পরিষদের সম্মতিক্রমে জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রয়ােজনীয় সংশােধন, সংযােজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন-কে বুঝাবে।
২৫। অর্থ বছর বলতে ১লা জুলাই হতে ৩০শে জুন বা ১লা জানুয়ারী হতে ৩১শে ডিসেম্বর সময়-কে বুঝাবে এবং যে কোন একটি বলা বা লেখা যাবে।
২৬। কমিটির কার্যকাল বলতে যে কোন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ হতে মেয়াদ শেষ পর্যন্ত সময়-কে বুঝাবে।
২৭। তহবিল বলতে ও বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর তহবিল-কে বুঝাবে।
সাংগঠনিক অধ্যায়।
ধারা-১৪। বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) ও সাংগঠনিক কাঠামাে
১। সাধারণ পরিষদ/জাতীয় নির্বাহী কমিটি। ২। কার্যকরী পরিষদ/কমিটি ও জাতীয় প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ। ৩। বিভাগ, জেলা, মহানগর, প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট, থানা/উপজেলা শাখা কমিটি। বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর
সাংগঠনিক কাঠমাে
↓
জাতীয় নির্বাহী কমিটি
↓
কার্যকরী পরিষদ/জাতীয় প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ
↓
বিভাগ/জেলা শাখা /মহানগর শাখা /প্রাতিষ্ঠানিক শাখা
↓
থানা উপজেলা শাখা /পৌর শাখা
ধারা-১৫। বিএমজেএফ এর সদস্য প্রকার/শ্রেণী
বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ)এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কর্মসূচী বাস্তবায়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার সাহায্য, সহযােগিতা পরামর্শ ও পৃষ্টপােষকতা লাভের জন্য নিম্নে বর্ণিত৭ (সাত) প্রকার সদস্য করা যাবে ?
(১) কেন্দ্রীয় ও শাখা সাধারন সদস্য,
(২) জাতীয় ও শাখা নির্বাহী কমিটির সদস্য,
(৩) উপদেষ্টা সদস্য,
(৪)পৃষ্ঠপােষক সদস্য,
(৫) দাতা সদস্য,
(৬) আজীবন সদস্য
(৭) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
ধারা-১৬। সাধারণ সদস্য পদ লাভক
(১) মুক্তিযােদ্ধা/যুদ্ধাহত মুক্তযােদ্ধা/মুক্তিযােদ্ধাদের উত্তরাধিকারী/শহীদ পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী মুক্তিযােদ্ধাগণ।।
(২) বিএমজেএফএর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কর্মসূচী বাস্তবায়ন, গঠনতন্ত্র সংশােধন, সংযােজন,পরিবর্তন, বার্ষিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন ও আয়-ব্যয় হিসাব অনুমােদন, চেয়ারম্যান, মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/নির্বাহী পরিচালক/Executive Director-কে প্রয়ােজনীয় ক্ষমতা প্রদান, যে কোন আইন, বিধিমালা প্রনয়ন, অনুমােদন, বিএমজেএফ এর সার্বিক উন্নয়ন, অগ্রগতি করার উদ্দেশ্যে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হবে।
খ) যে কোন স্তরেরসাধারণসদস্য পদ লাভের জন্য জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক ধার্যকৃত সদস্য ভর্তি ফি ও মাসিক চাদা প্রদান করার সম্মতি দেন।
গ) বাংলাদেশের নাগরিক এমন যে কোন স্বাধীনতার স্বপক্ষের ব্যাক্তি সংগঠনের নিজস্ব ফরমে আবেদন করে নিয়মানুযায়ী সদস্য পদ লাভ করতে পারবেন। সংস্থা কর্তৃক মনােনয়নপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে সাধারণ সদস্য পদ কার্যকরী হবে।
ঘ) ২ বছর পর পর সাধারণ সদস্য পদ নবায়ন করতে হবে। কোন কারণে সদস্য পদ বাতিল না হলে মনােনয়নের তারিখ হতে ২ বৎসর সদস্য পদ বহাল থাকবে।
ধারা-১৭। জাতীয় নির্বাহী কমিটির গঠণ ও কাঠামাে বিএমজেএফ-কে জাতীয় পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য জাতীয় নির্বাহী কমিটি নামে নিম্নরূপ কমিটি গঠন করা যাবে । সাধারণ সদস্য, প্রতিষ্ঠাতা পরিষদের সদস্য, বিশেষ করে মুক্তিযােদ্ধা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ব্যক্তি, বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট সমাজসেবক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, পেশাজীবি, নিরপেক্ষ সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী/ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সাবেক সংসদ সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক/বেসামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট চিকিৎসক, শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে সংগঠনের নিয়মানুযায়ী ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হবে।
খ) জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন কাঠামাে/ছক নিম্নরূপ (তবে প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ সাংগঠনিক কাঠামাে সংশােধন, সংযােজন, পরিবর্তন, পুনর্বিন্যাস করতে পারবে)
ধারা-১৮। জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ
মনােনয়ন প্রাপ্ত বিএমজেএফ এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির পদাধিকার বলে নির্বাচিত পদ ছাড়া যে কোন পদ লাভ করার আবেদন করতে পারবেন যদি তিনি ঃ সাধারণ সদস্য হিসেবে মনােনিত হয়ে, সাধারণ সদস্য পদ লাভের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফাউন্ডেশনের ফরমে আবেদন করেন এবং নির্বাচন কমিটি কর্তৃক নির্বাচনে অংশ গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হয়। বিএমজেএফ এর স্বার্থ বা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজে জড়িত হবে না এ মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
৩। সাধারণ সদস্য নয় এমন কোন ব্যক্তি জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোন পদে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না।
৪। বিএমজেএফ এর স্বার্থে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমর্থনে বিশিষ্ট যে কোন ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান
করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তাদের মনােনয়নের পূর্বে সাধারণ সদস্য হতে হবে।
ধারা-১৯। উপদেষ্টা সদস্য পদ লাভ ও পরিষদ গঠন ১। বিএমজেএফ এর কার্যক্রম গতিশীল, সার্বিক উন্নয়ন, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসুচী বাস্তবায়ন, জাতীয় ভিত্তিক পরিচালনা করার জন্য পরামর্শ ও সহায়তার উদ্দেশ্যে আগ্রহী যে কোন সুযােগ্য ব্যক্তিকে উপদেষ্টা সদস্য পদেমনােনয়ন করা যাবে।
২। উপদেষ্টা সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা যাবে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক সার্বিক বিবেচনা করে সুযােগ্য যে কোন একজন ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা মনােনয়ন করা যাবে। প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। প্রধান উপদেষ্টার অনুপস্থিতিতে যে কোন একজন সিনিয়র উপদেষ্টা সদস্য সভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
৩। বিএমজেএফ এর প্রয়ােজনে মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল কর্তৃক কমপক্ষে ০৭ (সাত) দিনের নােটিশ উপদেষ্টা পরিষদের সভা আহ্বান করা যাবে।
৪। প্রত্যেক শাখা ভিত্তিক স্থানীয়ভাবে কেন্দ্রীয় কর্তৃক দেয়া নিয়মানুযায়ী উপদেষ্টা সদস্য করা ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন। শাখা উপদেষ্টা সদস্য ও উপদেষ্টা কমিটি কেন্দ্রীয় অনুমােদন সাপেক্ষে কার্যকরী হবে এবং শাখা উপদেষ্টা কমিটি কেন্দ্রীয় কর্তৃক দেয়া দায়িত্ব পালন করবেন।
৫। চেয়ারম্যান বা মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল কর্তৃক উপদেষ্টা সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টার মনােনয়ন পত্র প্রদান করা হবে।
ধারা-২০। পৃষ্ঠপােষক সদস্য পদ লাভ
১। দেশ, জাতি, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে বিএমজেএফ পরিচালনার জন্য পৃষ্ঠপােষকতা দেয়ার যােগ্য বিবেচিত এমন যে কোন ব্যক্তিদের বিএমজেএফ এর পৃষ্ঠপােষক সদস্য ও প্রধান পৃষ্ঠপােষক পদে মনােনয়ন করা যাবে।
২। পৃষ্ঠপােষক সদস্যগণ বিএমজেএফ পরিচালনায় সহযােগিতা, পরামর্শ, উপদেশ ও পৃষ্ঠপােষকতা করবেন।
৩। চেয়ারম্যান বা মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল কর্তৃক পৃষ্ঠপােষক সদস্য মনােনয়ন পত্র প্রদান করা হবে।
ধারা-২১। দাতা সদস্য পদ লাভ
১। মানুষ মানুষের জন্য। প্রত্যেক সচেতন মানুষের দেশ, জাতি, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নৈতিক দায়িত্ব পালন করা কর্তব্য। দরিদ্র অসহায় মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সেবা, জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম ও বিএমজেএফ | পরিচালনার জন্য সাহায্য-সহযােগিতা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে যে কোন দানশীল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, সংস্থা-কে দাতা সদস্য পদ প্রদান করা যাবে।
২। নুন্যতম ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এককালীন অনুদান বা সমপরিমানের সম্পদ দান করে দেশী-বিদেশী যে কোন ব্যক্তিবর্গ, প্রতিষ্ঠান, সংস্থাকে দাতা সদস্য পদ প্রদান করা হবে।
৩। দাতা সদস্যগণ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বিএমজেএফ এর সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নে অর্থ বিনিয়ােগ করতে পারবেন।
৪। বিএমজেএফ এর মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল কর্তৃক স্বাক্ষরে দাতা সদস্য হিসেবে মনােনয়ন পত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে
সদস্য পদ কার্যকর হবে।
ধারা-২২। আজীবন সদস্য পদ লাভ
১। এককভাবে দায়িত্ব, কর্তব্য পালন করার চেয়ে সমন্বিত ও সাংগঠনিক সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহত্তর পরিসরে
অংশ গ্রহণ করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের সেবা ও কল্যাণে আজীবন দায়িত্ব পালন করার উদ্দেশ্যে যে
কোন পুরুষ/মহিলা বিএমজেএফ এর আজীবন সদস্য পদ লাভ করতে পারবেন।
২। যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিএমজেএফ এর নিজস্ব ফরমে আবেদন করে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা
নুন্যতম এককালিন অনুদান প্রদান করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আজীবন সদস্য পদ লাভ করতে পারবেন।
৩। বিএমজেএফ এর পক্ষে মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল কর্তৃক স্বাক্ষরে কেন্দ্রীয় আজীবন সদস্য হিসেবে মনােনয়ন
পত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে সদস্য পদ কার্যকরী হবে।
৪। আজীবন সদস্যগণ সংগঠন পরিচালনা করার জন্য সার্বিক সহযােগিতা করবেন এবং দেশ, জাতি, সমাজ ও মানুষের
কল্যাণে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা দেয়া যেতে পারে। বিএমজেএফ এর মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল কর্তৃক স্বাক্ষরে শাখা ভিত্তিক দাতা সদস্য হিসেবে মনােনয়ন পত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে সদস্য পদ কার্যকর হবে। কেন্দ্রীয় দেয়া নিয়মানুযায়ী শাখা ভিত্তিক আজীবন সদস্য পদ লাভ করা যাবে। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল কর্তৃক মনােনয়ন প্রাপ্তি সাপেক্ষে শাখা পর্যায়ের আজীবন সদস্য পদ কার্যকরী হবে।
ধারা-২৩।প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মনােনয়ন প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ গঠণ
ধারা-২৪। বিএমজেএফ এর কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন/গঠণ
ক) নিম্নরুপ কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবে ?
১। বিএমজেএফ এর প্রতিষ্ঠাতা, উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন স্তরের আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ নিয়ে প্রথমে জাতীয় নির্বাহী কমিটি | গঠন করে উক্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবে।
২। কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ গঠিত/নির্বাচিত হবে।
৩। জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ গঠন করা যাবে। যদি কোন কারণে প্রস্তাব সমর্থনে কার্যকরী পরিষদ গঠন করা একান্ত সম্ভব না হয় তবে প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল পদ ছাড়া অন্য সকল পদে জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভােটে নির্বাচন কমিটির দেয়া নিয়মানুযায়ী কার্যকরী পরিষদ নির্বাচিত হবে। তবে মনােনিত চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি স্ব পদে বহাল থাকবেন।
কার্যকরী পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামাে ১। ৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ এর ক্ষেত্রে গঠণ কাঠামাে/ছক নিম্নরূপ হবে
ধারা-২৫। কার্যকরী পরিষদের কার্যকাল
ধারা-২৬। কার্যকরী পরিষদ বিলুপ্তি করণ ও পুনঃগঠন ও
ধারা-২৭। সদস্য ভর্তি, মাসিক চাঁদা/অনুদান ধার্য
ধারা-২৮। বিএমজেএফ এর সাংগঠনিক বিভাগীয়,আঞ্চলিক/জোনাল, জেলা, এরিয়া শাখা সমূহ ঃ
ধারা-২৯। সদস্য পদ সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বাতিল বা শূন্য করণ
ধারা-৩০। শাখা স্থাপন ও স্বীকৃতি
১। শাখা স্থাপন।
২। শাখা স্বীকৃতি
ধারা-৩১। শাখা স্বীকৃতি ফি, কমিটি অনুমােদন ও নবায়ন
ক) শাখা স্বীকৃতি ফি
খ) শাখা কমিটি অনুমােদন
গ) শাখা নবায়ন
ধারা-৩২। শাখা কমিটি বাতিল বা অনুমােদন প্রত্যাহার ও পুণর্গঠণ সাহায্য সহযােগিতা, তদারকি ও প্রয়ােজনীয় নির্দেশাবলী প্রদান করবেন। চেয়ারম্যান এর সাথে আলােচনাক্রমে কর্মচারীদের সাংগঠনিক কাঠামাে প্রণয়ন, কর্মচারী নিয়ােগ, কর্মচারীদের বেতন/ভাতা/স্কেল নির্ধারণ ও প্রদান, কর্মচারীদের গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে বেসরকারী সংস্থার চাকুরীর বিধান অনুযায়ী প্রয়ােজনীয় ক্ষেত্রে বরখাস্ত করতে পারবেন। গঠণতন্ত্র অনুযায়ী বিএমজেএফ পরিচালনা, কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও উন্নয়নকল্পে সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা চালাবেন। ফাউন্ডেশনের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও কার্যকরী পরিষদের সভায় অনুমােদনের জন্য পেশ করবেন এবং অনুমােদনের পর বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। উপরিউক্ত দায়িত্ব ছাড়াও গঠণতন্ত্র , বিধিমালা পরিপন্থী না হলে তিনি জাতীয় নির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি, কার্যকরী পরিষদ, প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে দেয়া দায়িত্ব পালন করবেন। মহাসচিব জাতীয় নির্বাহী কমিটির ও কার্যকরী পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
১। নির্বাহী কমিটি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সাথে পরামর্শ করে বিভিন্ন উৎস হতে অর্থ যােগান দেয়া, বিএমজেএফ এর আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের পদক্ষেপ গ্রহণ, বাজেট প্রণয়ন, মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল ও “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” এর দায়িত্ব পালনে সার্বিক সাহায্য,সহযােগিতা ও পরামর্শ প্রদান করবেন।
২। চেয়ারম্যান, মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলও “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক দেয়া দায়িত্ব পালন, বিএমজেএফ এর উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানাে। মাসিক ও বার্ষিক আয়-ব্যয় হিসাব প্রতিবেদন পরীক্ষা করে নিজে স্বাক্ষর করে মহাসচিব/সেক্রেটারীজেনারেল, চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরের পর নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।
৪। বিএমজেএফ এর সকল আর্থিক আয়-ব্যয় হিসাব ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রমের জন্য দায়ী থাকবেন ও জবাবদিহি করবেন।
৫। কার্যকরী পরিষদ বা জাতীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরী প্রয়ােজনে কর্তৃপক্ষের অনুমােদন সাপেক্ষে সকল প্রকার আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
৬। বিএমজেএফ উন্নয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা, সার্বিক সাহায্য, সহযােগিতা, পরামর্শ প্রদান করবেন।
৭। বিএমজেএফ এর কার্যক্রম, কর্মসূচী বাস্তবায়ন, ব্যবস্থাপনা, নির্বাহী, প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক সাহায্য-সহযােগীতা ও পরামর্শ প্রদান করবেন।
৮। প্রতিষ্ঠাতা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে বিএমজেএফ এর সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদ “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
৯। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, অন্যান্য কর্মকর্তা, সম্পাদক, সংগঠন প্রতিনিধি, কর্মী, সদস্যদের দায়িত্ব পালনে পরামর্শ,সহযােগীতা ও কর্মকান্ডের সমন্বয় সাধন করবেন।
১০। বার্ষিক প্রতিবেদন, পরিকল্পনা, আয়-ব্যয়ের বাজেট প্রনয়ন ও অডিট ফার্ম নিয়ােগ করা ও ফাউন্ডেশনের সকল প্রকার আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ, তত্ত্বাবধান এবং আয়-ব্যয় এর প্রতিটি ভাউচার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর স্বাক্ষর করবেন ফাউন্ডেশনের সভায় অনুমােদনের জন্যে উপস্থাপন করবেন।
১১। বিএমজেএফ এর পক্ষে মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলদেশী-বিদেশী, সরকারী, বেসরকারী সংস্থা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, কর্তৃপক্ষের সাথে যােগাযােগ রক্ষা, সভা, সম্মেলনে অংশ গ্রহন এবং প্রতিনিধিত্ব করবেন।
১২। তিনি মুক্তিযােদ্ধা, গরীব, অসহায়, দুঃস্থ ও শহীদ মুক্তিযােদ্ধা পরিবারসামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও সরকার/সামাজিক পর্যায়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন, পুনর্বাসন, চিকিৎসা সেবা করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা এবং কল্যাণ ও পূনর্বাসনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে জাতীয় নির্বাহী কমিটির ও কার্যকরী পরিষদের সভায় অনুমােদনের জন্যে উপস্থাপন করবেন।
১৩। মুক্তিযােদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা, শহীদ মুক্তিযােদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি পরিবারের সদস্যদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা চাকুরিতে নিয়ােগ সংক্রান্ত বাস্তব ভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পূনর্বাসিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগে গ্রহণ করবেন। ভূমিহীন মুক্তিযােদ্ধারা যাতে সরকারী খাস জমি বরাদ্দ পায় তার জন্যে সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভাগে যােগাযােগের মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
১৪। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলতার দায়িত্ব পালনের জন্য জাতীয় নির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি, কার্যকরী পরিষদ, প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নিকট দায়ী ও জবাবদিহি করবেন।
ঘ) যুগ্ম-মহাসচিব |
১। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলের অনুপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠাতা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে দায়িত্ব প্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করবেন।
ঙ) অর্থ সচিব/অর্থ সম্পাদক
চ) সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব
১। সাংগঠনিক সম্পাদক মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলের সাথে পরামর্শ ও প্রয়ােজনীয় অনুমােদন সাপেক্ষেসুষ্ঠুভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা,শাখা কমিটি গঠন ও পরিচালনা করতে সহায়তা করবেন।
২। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল ও “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” এর দায়িত্ব পালনে সার্বিক সাহায্য, সহযােগিতা করবেন।
৩। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলের কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন এবং সংগঠন পরিচালনা, কর্মসুচী বাস্তবায়ন।| ও সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানাে।
৪। বিএমজেএফ-কে জাতীয়/আন্তর্জাতিক ভাবে সু সংগঠিত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানাে।
৫। বিএমজেএফ এর উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং বিএমজেএফ এর কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।
৬। কার্যকরী পরিষদ ও প্রতিষ্ঠাতা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সিদ্ধান্তক্রমে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক, কনসালটেন্ট, বিভিন্ন কমিটির সভাপতি ও যে কোন কমিটির ও প্রকেল্পর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
৭। বিএমজেএফ উন্নয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা, সার্বিক সাহায্য, সহযােগিতা, পরামর্শ প্রদান করবেন।
ছ) দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব
১। দপ্তর সম্পাদক, মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলের সাথে পরামর্শ এবং প্রয়ােজনীয় অনুমােদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় দপ্তর ও সকল শাখা অফিস পরিচালনা, নিয়মিত যােগাযােগ রক্ষা, সকল নথি ও রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ, দৈনন্দিন অফিসের কার্যক্রম সম্পাদনএবং মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল ও “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা”-কে নিয়মিত অবগত করা।
২। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযােগিতা করা এবং মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল ও “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন, সংগঠনের উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানাে।
৩। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেলের কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন এবং সংগঠন পরিচালনা, কর্মসুচী বাস্তবায়ন ও সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানাে।
৪। বিএমজেএফ উন্নয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা, সার্বিক সাহায্য, সহযােগিতা, পরামর্শ প্রদান করবেন।
৫। বিএমজেএফ উন্নয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা, সার্বিক সাহায্য, সহযােগিতা, পরামর্শ প্রদান করবেন। জ) সদস্যগণের দায়িত্ব ও
ধারা- ৩৩। বিভিন্ন কমিটি গঠণ ও অনুমােদন ও
বিএমজেএফ এর প্রয়ােজন মােতাবেক বা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের অনুমােদন নিয়ে সকল স্তরের শাখা, অঙ্গ, সহযােগী, পার্টনার সংগঠনের কমিটি, তদন্ত কমিটি, কর্মসূচী/প্রকল্প ভিত্তিক বিভিন্ন কমিটি, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, দিবস পালন,
জাতীয় সম্মেলন বা যে কোন উদ্দেশ্যে যে কোন কমিটি, সাব-কমিটি, উপ-কমিটি গঠন করা যাবে।।
ধারা-৩৪। সদস্য পদ পূণর্বহাল ও শূন্য পদ পূরন করণ
ধারা-৩৫।বিএমজেএফ এর সাংগঠনিক স্তর ঃ
বিএমজেএফ এর কার্যক্রম, কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য নিম্নরূপ সাংগঠনিক স্তর থাকবে এবং শাখা স্থাপন করা যাবে। সাংগঠনিক স্তর/শাখা সমূহ
(১) বিভাগীয় শাখা
(২) জোনাল/আঞ্চলিক শাখা
(৩) মহানগর/সিটি কর্পোরেশন শাখা
(৪) জেলা/এরিয়া শাখা
(৫) উপজেলা/থানা শাখা
(৬) বিশ্ববিদ্যালয়/বিশ্বদ্যিালয় কলেজ শাখা
(৭) পৌরসভা শাখা
(৮) ইউনিয়ন শাখা
(৯) ওয়ার্ড শাখা,
(১০) গ্রাম শাখা ও অন্যান্য শাখা (বিএমজেএফ এর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমােদনক্রমে)।
ধারা-৩৬। শাখা ভিত্তিক নির্বাহী কমিটি গঠণ
ক) নিম্নোক্ত সাংগঠনিক কাঠামাে/ছক অনুযায়ী সকল স্তরের শাখা পর্যায়ে নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। তবে,কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ সাংগঠনিক কাঠামাে সংশােধন, সংযােজন, পরিবর্তন, পুর্নবিন্যাস করতে পারবে ৪ জন।
খ) কেন্দ্রীয় দেয়া সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী শাখা এলাকার বীর মুক্তিযােদ্ধা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের | ব্যক্তি, বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট সমাজসেবক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, পেশাজীবি, নিরপেক্ষ সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী/ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সাবেক সংসদ সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক/বেসামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের অনুমােদিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট শাখা কমিটি গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় কর্তৃক অনুমােদনক্রমে সকল স্তরের শাখা পরিচালনা কমিটি কার্যকরী হবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শাখা এলাকার বীর মুক্তিযােদ্ধা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ব্যক্তি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবেন। নির্বাহী, প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা অধ্যায়
ধারা-৩৭। কর্মকর্তাগণের দায়িত্ব ও ক্ষমতা
ক) চেয়ারম্যান
১। চেয়ারম্যান বিএমজেএফ এর সর্ব প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
২। চেয়ারম্যান, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও সাধারন পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সভায় সমান সংখ্যক ভােট হলে তিনি অতিরিক্ত ভােটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন। জাতীয় নির্বাহী কমিটি বা কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
৪। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল ও “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” প্রস্তাব ও সুপারিশক্রমে বিএমজেএফ এর ব্যবস্থাপনা, নির্বাহী, প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক যে কোন আদেশ, নির্দেশ, তদারকি, অগ্রগতি, প্রস্তাব বিবেচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমােদন করবেন।
৫। অসদাচরণ, নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে জাতীয় নির্বাহী কমিটি বা কার্যকরী পরিষদের সভার কার্যক্রম হতে সাময়িক ভাবে বা সময় নির্ধারণ কওে অভিযুক্ত সদস্যকে বহিস্কার বা সভায় অংশ গ্রহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবেন।
৬। বিএমজেএফএর নিয়মিত দায়িত্ব পালন, সার্বিক উন্নয়ন, সরকারী-বেসরকারী, দেশি-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থায় যােগাযােগ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে বিএমজেএফ প্রতিষ্ঠা লাভের প্রচেষ্টা চালাবেন।
৭। সাংগঠনিক, প্রশাসনিক, নির্বাহী কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল
ক) “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা”-কে সার্বিক সাহায্য, সহযােগীতা, পরামর্শ প্রদান করবেন।
খ) ভাইস-চেয়ারম্যান
১। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠাতা পরিষদের অনুমােদনক্রমে একজন ভাইস-চেয়ারম্যান দায়িত্বপ্রাপ্তচেয়ারম্যানের সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল
১। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর ব্যবস্থাপনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২। চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে জাতীয় নির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি ও কার্যকরীপরিষদ সহ যে কোন স্তরের কমিটির সভা আহবান এবং প্রয়ােজন মােতাবেক সভার আলােচ্য বিষয়নির্ধারণ, কাজের পরিকল্পনা ও প্রতিবেদন পেশ করবেন।।
৩। দপ্তরের সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাহায্য, সহযােগিতা, সমন্বয়, তদারকি এবং নিয়মানুযায়ী প্রয়ােজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমােদন করবেন।
ধারা-৩৮। কার্যকরী পরিষদ এর দায়িত্ব ও ক্ষমতা
ধারা-৩৯। শপথ গ্রহণ
১। ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটি, কার্যকরী পরিষদ এবং শাখা পর্যায় পরিচালনা কমিটির প্রত্যেকের শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথ গ্রহনের দিন হতে যে কোন পদ পদবী ও কমিটি কার্যকরী হবে।
২। গ্রহনযােগ্য কারণ ছাড়া নির্ধারিত তারিখের পর ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ করতে না পারলে তার পদ পদবী বাতিল হয়ে যাবে।
৩। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রধান পৃষ্ঠপােষক বা প্রধান উপদেষ্টা বা যে কোন উপদেষ্টা সদস্য দ্বারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল শপথ পাঠ করানাে হবে এবং সংস্থার চেয়ারম্যান কর্তৃক অন্যান্যদের শপথ পাঠ করানাে যাবে। শাখা পর্যায় কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা শপথ পাঠ করানাে হবে।
ধারা-৪০। প্রতিষ্ঠাতা পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা ?
ধারা-৪১। “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” পদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা
ধারা-৪২। বাের্ড অব প্রজেক্ট ডাইরেক্টরস গঠণ ও পরিচালনা
ধারা-৪৩। বিএমজেএফএর দপ্তর/ বিভাগ সমুহঃ
ক। বিএমজেএফ এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” এর সরাসরি তত্ত্ববধানে নিম্নরূপ বিভাগ/দপ্তর রাখা যাবে ?
১. “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” এর দপ্তর।
২. সংস্থাপন/ প্রশাসন বিভাগ।
৩. অর্থ ও অডিট বিভাগ।
৪. সাংগঠনিক ও জনসংযােগ বিভাগ।
৫. প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ।
৬. মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযােদ্ধা বিভাগ।
৭. আইটি (তথ্য ও প্রযুক্তি) বিভাগ।
৮. মানব সম্পদ (এইচআর) ও প্রশিক্ষন বিভাগ।
৯. কার্যক্রম মূল্যায়ন ও সম্প্রসারন বিভাগ।
১০. পরিকল্পনা বিভাগ। |
১১. গবেষনা বিভাগ।
১২. প্রকল্প বিভাগ (প্রত্যেক প্রকল্পের জন্য পৃথক প্রকল্প পরিচালক থাকবে)।
খ। বিএমজেএফ পরিচালনার জন্য প্রয়ােজন মােতাবেক বা পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক বিভাগ/দপ্তরের দায়িত্বে বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে একজন করে প্রয়ােজন মােতাবেক প্রকল্প পরিচালক ও প্রয়ােজনীয় কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক, প্রতিনিধি, সংগঠক, কর্মী, কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবক নিয়ােগ করা যাবে।
ধারা-৪৪। “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়ােগ, বেতন/ ভাতা প্রদান
১। “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়ােগ “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর একটি সাংবিধানিক ও প্রধান নির্বাহী পদ।
২। বেতন /ভাতা
ধারা-৪৫। কর্মকর্তা/কর্মচারী, সংগঠক, প্রতিনিধি নিয়ােগ, অব্যাহুতি
১। কর্মকর্তা/কর্মচারী, সংগঠক, প্রতিনিধি নিয়ােগ
২। কর্মকর্তা/কর্মচারী অব্যাহুতি
ধারা-৪৬। বিধিমালা/ ম্যানুয়াল/উপ-বিধি, সার্ভিস রুল প্রণয়ণ
১। সাংগঠনিক সহায়িকা, কর্মসুচী/প্রকল্প, নির্বাহী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, হিসাব ব্যবস্থাপনা, লিগ্যাল এইড, সালিশ | বিধিমালা সহ যে কোন কার্যক্রম সুষ্ঠু পরিচালনা এবং যে কোন উদ্দেশ্যে প্রয়ােজন মােতাবেক বিভিন্ন প্রকারের বিধিমালা/ম্যানুয়াল, সহায়িকা, নির্দেশিকা প্রণয়ন করা যাবে।।
২। জাতীয় নির্বাহী কমিটি/কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমােদিত যে কোন বিধিমালা, ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, সহায়িকা অনুযায়ী
সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করা হবে।
ধারা-৪৭। বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) সরকার কর্তৃক অনুমােদন
১। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর জয়েন্ট স্টক অব কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস কর্তৃক দি সােসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন
এ্যাক্ট ও মুক্তিযােদ্ধা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জামুকার এর আওতায় বিধি মােতাবেক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরাে অথবা দেশীয়/আন্তর্জাতিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর নিবন্ধন/রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার/আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমােদিত বলা ও লেখা যাবে এবং গবেষণা ও জনকল্যাণমূলক জাতীয় একটি সংগঠন হিসেবে গন্য হবে।
২। সরকারী নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিএমজেএফ এর গঠনতন্ত্রের রেজিষ্ট্রেশনকৃত/অনুমােদিত কপি প্রাপ্তির পর সরকার অনুমােদন/রেজিষ্ট্রেশনকৃত গঠণতন্ত্র বলে বিবেচিত হবে এবং অনুমােদিত গঠণতন্ত্র মােতাবেক পরিচালিত সকল কার্যক্রম বৈধ হিসেবে গন্য হবে। বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর স্বার্থে সরকারের অন্যান্য দপ্তর ও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিকরণ/রেজিষ্ট্রেশন করানাে এবং দেশী ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন, কমিশন, ফাউন্ডেশন, যে কোন ফোরাম, নেটওয়ার্ক সংগঠনের সদস্য পদ লাভ ও পার্টনার সদস্য হওয়া যাবে।
ধারা-৪৮। গঠণতন্ত্রের প্রয়ােগ ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন
১। নিবন্ধিকরণ/রেজিষ্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমােদন প্রাপ্ত গঠণতন্ত্রের সকল ধারা, উপধারা, কর্মসূচী
বাস্তবায়ন করা যাবে।
২। নিবন্ধিকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমােদিত গঠণতন্ত্রের প্রয়ােগ, কর্মসূচী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোন প্রকার
অভিযােগ উত্থাপন করা হলে উহা আইনগত বাতিল বলে গন্য হবে এবং সকল ক্ষেত্রে গঠণতন্ত্রের ধারা,
উপ-ধারা নিয়মাবলী ও পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে।
ধারা-৪৯। বিএমজেএফ নিয়ন্ত্রণ/পরিচালনা
ধারা- ৫০। প্রচার ও প্রকাশনা
১। বিএমজেএফ এর যে কোন প্রচার, প্রকাশনা ও প্রিন্টিং এর সকল কার্যক্রম কেন্দ্রীয় কার্যালয় এর উপর ন্যস্ত থাকবে।
কেন্দ্রীয় কর্তৃক লিখিত অনুমােদন ছাড়া শাখা পর্যায়ে কোন প্রকার ছাপা বা প্রকাশনা বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না।
২।। কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ যে কোন প্রকারের প্রকাশনার কাজ করতে পারবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমােদন সাপেক্ষে যে
কোন শিক্ষা বাের্ড এর বই, বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক, সরকারী, বেসরকারী ছাপার কাজ এবং উন্নয়ন/ সেবা মূলক বই, স্মরণীকা, সাময়িকী, ম্যাগাজিন, মাসিক, সাপ্তাহিক বা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ ও বাজারজাত করা এবং ফাউন্ডেশন এর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে টেলিভিশনসহ সকল প্রকার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেজিষ্ট্রেশন পূর্বক প্রকাশ ও বানিজ্যিক ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।
ধারা-৫১। বিশেষ ক্ষমতা
ধারা-৫২। বিএমজেএফ এর সীল, সাইনবোের্ড, পরিচয়পত্র, ভিজিডিং কার্ড ও মনােগ্রাম
১। বিএমজেএফ এর সীল
ক) কেন্দ্রীয় ও প্রত্যেক শাখায় অফিসিয়াল গােল সীল এবং কর্মকর্তাদের নাম পদবীসহ সীল তৈরী করে অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার করা হবে।
খ) কর্তৃপক্ষের অনুমােদন সাপেক্ষে যে কোন সীল, ভিজিটিং কার্ড, আইডি কার্ড তৈরী করা যাবে।
২। সাইনবাের্ড ব্যবহার
বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) এর জাতীয় নির্বাহী কমিটি বা কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমােদিত নমুনা মােতাবেক কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং প্রত্যেক শাখা অফিস/দপ্তরের সামনে অবশ্যই সাইনবাের্ড লাগাতে হবে।
৩। পতাকা লােগাে ব্যবহার
জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কার্যকরী পরিষদ এর চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান, মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল ও সম্পাদক মন্ডলী, আজীবন ও দাতা সদস্য, অনুমােদিত শাখা কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের লােগাে সম্বলিত নেমপ্লেট কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমােদন ও সরবরাহ/গৃহীত সাপেক্ষে গাড়ীতে ব্যবহার করতে পারবেন। শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কার্যকরী পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল সংগঠনের লােগাে সম্বলিত পতাকা ও লােগাে সম্বলিত নেমপ্লেট গাড়ী ও দপ্তরে ব্যবহার করতে পারবেন।
৪। পরিচয়পত্র
ক) বিএমজেএফ এর সকল স্তরের সংগঠক, সম্পাদক, সদস্য, কর্মকর্তা, কর্মচারী, কর্মী, প্রতিনিধিদের বিএমজেএফ এর পরিচয়পত্র দেয়া যাবে।
খ) মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল বা “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবহারকারীর যৌথ স্বাক্ষরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে সকল পরিচয়পত্র ইস্যু করা হবে। কেবলমাত্র সাংগঠনিক ও অফিসিয়াল কাজে পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারবেন। পরিচয়পত্রের অপব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার আওতাধীন পরিচয়পত্র ব্যবহারকারীর পরিচয়পত্র প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশসহ মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল এর নিকট হস্তান্তর করতে পারবেন । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিচয়পত্র নবায়ন করতে হবে। অন্যথায় পরিচয়পত্র অবৈধ এবং বাতিল বলে বিবেচিত হবে।
ঙ) যে কোন কারণে বা কোন প্রকারণ ছাড়া যে কোন সময় মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল বিএমজেএফ
এর যে কোন স্তরের পরিচয় পত্র/আইডি কার্ড প্রত্যাহার বা বাতিল করতে পারবেন।
চ) বিএমজেএফ এর পরিচয় পত্রে একটি পরিচিতি নম্বর থাকবে যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ভিজিটিং কার্ড ? বিএমজেএফ এর যে কোন স্তরের কর্মকর্তা, সংগঠক, প্রতিনিধি, সম্পাদক, সদস্য মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল কর্তৃক অনুমতি সাপেক্ষে তার নামের ভিজিটিং কার্ড বিএমজেএফ এর মাধ্যমে তৈরী করে সংস্থার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। অনুমতি ছাড়া ভিজিটিং কার্ড তৈরী করা যাবে না। | আর্থিক ব্যবস্থাপনা অধ্যায়।
ধারা-৫৩। বিএমজেএফএর তহবিল গঠণ
বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) দেশ, জাতি, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত জাতীয় ভিত্তিক একটি সংগঠন। এ সংগঠন পরিচালনা, কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য নিম্নরূপভাবে তহবিল গঠন করা
যাবে ?
১। বিএমজেএফ এর বিভিন্ন স্তরের সদস্যগনের ভর্তি ফি, মাসিক চাঁদা ও অনুদান।
২। বিভিন্ন মুখী ফরম, রেজিষ্ট্রার খাতা, বিভিন্ন প্রকাশনা, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, পাঠ্যপুস্তক, বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন,
সংবাদপত্র প্রকাশ ও বিক্রয় হতে প্রাপ্ত আয়।
৩। সর্বস্তরের শাখা স্বীকৃতি, শাখা কমিটি অনুমােদন ফি, মাসিক চাঁদা ও অনুদান।
৪। বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক সাহায্য অধ্যাদেশ এর নিয়মাবলী অনুযায়ী বিশ্বের যে কোন দেশ, দাতা সংস্থা,
প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ হতে প্রাপ্ত অনুদান/ঋণ।
৫। দেশি-বিদেশী দাতা সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সমাজের দানশীল ব্যক্তিবর্গ, জনসাধারণ হতে প্রাপ্ত অর্থ/সম্পদ,
অনুদান। বিশেষ তহবিল সংগ্রহ অভিযান মারফত।
৬। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত অনুদান, ঋণ ও সম্পদ।
৭। সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা, কোম্পানী, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন মুখী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী ও কনসাল্ট্যান্সী
হতে প্রাপ্ত সার্ভিস চার্জ।
৮। সরকারী/বেসরকারী যে কোন বানিজ্যিক ব্যাংক, পিকেএসএফ, অর্থলগ্নী সংস্থা/সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী,
ব্যক্তিবর্গ হতে প্রাপ্ত অনুদান ও কর্মসূচী হতে আয়। ফাউন্ডেশন এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ফাউন্ডেশনের আয়-বর্ধক হিসেবে ‘বিএমজেএফ সিকিউরিটি সার্ভিস’, ‘বিএমজেএফ মার্কেটিং সার্ভিস বা অন্য কোন প্রয়ােজনানুযায়ী সহপ্রতিষ্ঠান গঠণ করে নীতিমালার আলােকে পরিচালনা করা যাবে।
৯। গবেষণা, উন্নয়ন, সেবা ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত সার্ভিস চার্জ এবং ফাউন্ডেশন এর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে বা সরকার অনুমােদিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ প্রাইভেট ইপিজেড তৈরী-উন্নয়ন ও হস্তান্তর পূর্বক আয়সহ অন্যান্য উপার্জনমূলক কর্মসূচীতে বিনিয়ােগ করে প্রাপ্ত আয়। ফাউন্ডেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হতে সম্ভাব্য আয়।
১০। বিবিধ। (খ) ফাউন্ডেশন তহবিল ব্যয় পদ্ধতি :
১। ফাউন্ডেশনের দপ্তর পরিচালনা ও আনুষাঙ্গিক সাজ-সরঞ্জাম ক্রয়।
২। সভা, প্রচার সেমিনার, গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণমূলক কাজ অনুদান ইত্যাদি।।
৩। সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পাদনা, সম্মেলন অনুষ্ঠান ও ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য
সাংগঠনিক সফর, যােগাযােগ ইত্যাদি। ফাউন্ডেশনের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা ব্যয় এবং প্রয়ােজনীয় আয় বৃদ্ধি লক্ষ্যে নিজস্ব জমিতে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ। আইনগত পরামর্শ তদসংক্রান্ত প্রয়ােজনীয় ব্যয়। মুক্তিযােদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা, শহীদ মুক্তিযােদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি পরিবারের সদস্যদের পূনর্বাসন ও কল্যাণের লক্ষ্যে নিম্নে উল্লেখিত সার্বিক কল্যাণমূলক কাজ সমূহ করা যাবে। ০ কন্যা দায়গ্রস্ত মুক্তিযােদ্ধার কন্যা সন্তান বিবাহের জন্য এককালীন অনুদান। ০ মুক্তিযােদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা, শহীদ মুক্তিযােদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি পরিবারের সদস্যদের
লেখাপড়ার জন্যে শিক্ষা বৃত্তি, পুস্তকাদি সরবরাহ ও আর্থিক সাহায্য প্রদান। ০ চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ও আর্থিক অনুদান। ০ সুদবিহীন ঋণ প্রদান। ০ অস্বচ্ছলদের আর্থিক সাহায্য। ০ জাতীয় দুযাের্গ মুক্তিযােদ্ধাসহ জনগণের পাশে দাঁড়ানাের জন্য রিলিফ সামগ্রী ক্রয় ও অন্যান্য প্রয়ােজনীয়
ব্যয়। ০ এন,জি,ও বিষয়ক কর্মকান্ড ও তহবিল সংগ্রহ করার পূর্ব পর্যন্ত আনুষাঙ্গিক ব্যয়।
০ প্রয়ােজনে সার্বক্ষনিক নিয়ােজিত কর্মকর্তাদের সম্মানী ভাতা প্রদান।
ধারা-৫৪। অর্থ গ্রহণ বিধি
ধারা-৫৫। চুক্তিপত্র সম্পাদন
১। বিএমজেএফ এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও পরিচালনার জন্য যে কোন সরকারী/বেসরকারী, দেশী/বিদেশী দাতা সংস্থা, ব্যক্তিবর্গ, ব্যাংক, ঋণ দানকারী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এর নিকট থেকে ঋণ, অনুদান গ্রহণ, পরিশােধ এবং এ বিষয়ে যে কোন চুক্তি সম্পাদন করা যাবে
২|বিএমজেএফ এর পক্ষে মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল বা “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” যে কোন দাতা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের সাথে চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে পারবেন। মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল বা “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সম্পাদিত চুক্তিপত্র সংস্থার অফিসিয়াল চুক্তিপত্র হিসেবে গন্য হবে।।
৩। বিএমজেএফ এর পক্ষে মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল বা “নির্বাহী পরিচালক/Executive Director/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা” যে কোন চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে পারবেন।
ধারা-৫৬। ব্যয় নির্বাহ ও নিয়ন্ত্রণ ।
ধারা-৫৭। ব্যাংক হিসাব পরিচালনা
ধারা-৫৮। শাখা পর্যায়ে ব্যাংক হিসাব খােলা ও আয়-ব্যয় কার্যক্রম পরিচালনা
ধারা-৫৯। হিসাব পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও অডিট করণ
ক) হিসাব পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ
খ) অডিট করণ ঃ
ধারা-৬০। বিএমজেএফ এর বার্ষিক বাজেট ?
সাধারণ অধ্যায়
ধারা-৬১। পদত্যাগ
ধারা-৬২। শূন্যপদ পূরণ
ধারা-৬৩। কমিটি, সাব-কমিটি বা উপ-কমিটি গঠণ
ধারা-৬৪। সভা আহবান
ক) সাধারণ সভা
খ) তলবী সভা আহবান
গ) সভা আহবানের সময়
ধারা-৬৫। কোরাম
নির্বাচন ও গঠণতন্ত্র সংশােধন অধ্যায়
ধারা-৬৬। কমিটির নির্বাচন
ধারা- ৬৭। গঠণতন্ত্রের সংশােধণ/সংযােজন/পরিবর্তন
ধারা-৬৮। বিএমজেএফ এর অবসায়ন ক্ষতি (মােহাম্মদ মতিয়র মহমান ছিলে) প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব/সেক্রেটারী জেনারেল নির্বাহী পৰিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন(বিএমএফ)। ভূষিত (বীর মুক্তিযােদ্ধা প্রফেসর ডাঃ আলতাফ হােসেন সমকাম)
চেয়াম্যান। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন